বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

জুনে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমে ৮৪২ টাকা

তরফ নিউজ ডেস্ক : জুন মাসের জন্য দেশের বাজারে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজির দাম আরেক দফা কমিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন- বিইআরসি।

১২ কেজির সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৪২ টাকা, যা আগের মাসে ৯০৬ টাকা ছিল।

ভোক্তা পর্যায়ে জুন মাসের জন্য প্রতিকেজি এলপিজির দাম ঠিক হয়েছে মূসক ছাড়া ৬৫ টাকা ৭২ পয়সা, যা মূসকসহ ৭০ টাকা ১৭ পয়সা পড়বে।

সে অনুযায়ী ১২ কেজি, ১৮ কেজি, ২০ কেজি, ২৫ কেজি, ৩০ কেজি বা অন্যান্য ওজনের সিলিন্ডারগুলোর দাম ঠিক হবে।

আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সৌদ আরমকো কোম্পানির দামের সঙ্গে সমন্বয় করে সোমবার এলপিজির এই নতুন দর ঘোষণা করেছে বিইআরসি।

কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দাম কমানোর কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, মে মাসের কন্ট্রাক্ট প্রাইসের ভিত্তিতে জুন মাসের বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

মে মাসে সৌদি আরামকোর প্রোপেনের দাম প্রতি মেট্রিক টন ৪৯৫ ডলার এবং বিউটেন প্রতি মেট্রিক টন ৪৭৫ ডলার ছিল। ৩৫ অনুপাত ৬৫ হিসাবে প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ করার পর গড় মূল্য দাঁড়ায় প্রতি টন ৪৮২ দশমিক ৫০ ডলার, যা এপ্রিল মাসের তুলনায় ৫৮ দশমিক ৫০ ডলার কম। সেই  বিবেচনায় দেশের বাজারের জন্য জুন মাসের নতুন দার ঠিক করা হয়েছে।

পাশাপাশি মে মাসে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সা। ক্রয় মূল্য কমে যাওয়ায় তা ভ্যাটকেও কিছুটা প্রভাবিত করেছে, সেটাও বিবেচনা করেছে বিইআরসি।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত (রেটিকুলেটেড পদ্ধতি) এলপিজির দাম প্রতি লিটার ৬৩ টাকা ৪৭ পয়সা (মূসকসহ ৬৭ টাকা ৮৭ পয়সা) ধরা হয়েছে। মে মাসে এই দর ছিল ৭৩ টাকা ২০ পয়সা।

অটোগ্যাসের দাম ভোক্তা পর্যায়ে ৪১ টাকা ৭৪ পয়সা ঠিক করা হয়েছে জুন মাসের জন্য, যা মে মাসে ছিল প্রতি লিটার ৪৪ টাকা ৭০ পয়সা।

গত ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মত দেশে এলপিজির দাম নির্ধারণের পর মাসে মাসে সৌদি আরমকোর কন্ট্রাক্ট প্রাইসের ওপর ভিত্তি করে দাম পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সে অনুযায়ী এ নিয়ে দুইবার দাম পুনর্নির্ধারণ করা হল। দুইবারই ধাপে ধাপে দাম কমে এসেছে।

ভোক্তাদের অভিযোগ, কমিশনের পুনর্নির্ধারণে দাম কমলেও বাজারে সেই দামে সিলিন্ডার মেলে না। ঢাকাতেই ১২ কেজি এলপিজির সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকার বেশি দামে। আবার কিছু কিছু প্রান্তিক এলাকায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে এলপিজির খবর পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, “বাস্তবায়নের একক দায়িত্ব বিইআরসির নয়, এটা সবার দায়িত্ব। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে চিঠি দিয়ে দাম কার্যকর করার উদ্যোগ নিতে বলেছে বিইআরসি।”

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com